"ব্লা'উজের হুকটা লাগান!!
পাশ থেকে ভরাট কন্ঠের কথাটি শুনে চমকে তাকাই আমি। অপ্রস্তুত হয়ে এদিক ওদিক দৃষ্টি দিতেই আবারও একই ভাবে গম্ভীর স্বরে বলে উঠেন,
" আপনার ব্লাউজের হুক খুলে গেছে। আমার অস্বস্তি হচ্ছে, প্লিজ দ্রুত ঠিক করে আসুন।"
এভাবে ভরা মানুষের সামনে লজ্জায় মাথা কা*টা যাচ্ছে আমার।
একটু নড়েচড়ে মিনমিনে স্বরে জবাব দিলাম, " জ্বি!"
এক মিনিটও সেখানে না দাঁড়িয়ে চলে গেলাম আমার বেস্টফ্রেন্ডের রুমে। বিকেলে আমার ফ্রেন্ড রুদিতার জেদের কাছে হেরে বাধ্য হয়েই ওর বড় বোনের বিয়েতে আসি। কখনো শাড়ি পড়া হয়না বলে আজ এতো মানুষের মাঝে অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়তে হলো। পিঠে শাড়ির আঁচল লম্বা করে টেনে চট করে রুদিতার রুমে যাই। শাড়ির আঁচল নামিয়ে পেছনের হুক লাগানোর সময়ই ক্যাচ করে কেউ রুমে ঢুকে। মুহুর্তেই ভয়ে আমার সারা শরীর অসাড় হয়ে যায়। পেছন ঘুরে তাকিয়ে দেখি আবারও সেই ছেলেটি। আমার হাত পা কাঁপছে। কাঁপা হাতেই হুড়মুড় করে বুকের আঁচল ঠিক করলাম। ছেলেটি পেছন ঘুরে দাঁড়িয়ে আছে। আমি বললাম,
" কোনো দরকার ভাইয়া?"
ছেলেটি আস্তে ধীরে আমার পানে তাকিয়ে জবাব দেয়,
" সরি! রুদিতাকে ডাকতে এসেছিলাম। এভাবে দরজা খুলা রেখে কেউ শাড়ি ঠিক করে?"
" ভেবেছিলাম কেউ আসবে না। আমি কি জানতাম আপনি আসবেন?"
ছেলেটি শীতল দৃষ্টি নিক্ষেপ করে কোনো জবাব দিলো না। আলতো পায়ে হেঁটে আমার দিকে এগিয়ে আসলো। পেছনে দাঁড়িয়ে ব্লাউজের হুকে তার হাতের স্পর্শে হৃৎস্পন্দন থমকে যায় আমার। সারা দেহ শিরশির করে উঠে। চোখ বন্ধ করে অনুভব করি কোনো স্পর্শ ছাড়াই হুক লাগিয়ে দিলো। পায়ের শব্দে চট করে তাকাতেই দেখি রুমে কেউ নেই। ছেলেটি কে জানার তীব্র ইচ্ছে জাগলেও দমিয়ে রাখলাম। জীবনে প্রথম কোনো ছেলের স্পর্শে আমার ভেতরটা এলোমেলো হয়ে গেছে।বিরতিহীন ভাবে বুক ধরফর করছে। তাই, রুম থেকে বেরিয়ে, কাউকে না জানিয়ে এক প্রকার পালিয়ে আসি বাসায়।
__
সেই ঘটনার পরে আমার পড়াশোনা, টিউশন সব কিছু মিলিয়ে ভুলেই যাই আমি। আজ ১ বছর পর হুট করেই দাদির আবদারে আকদ হয়ে যায় আমার। ছেলেটিকে দেখার সুযোগও হয়ে ওঠেনি। হোস্টেল থেকে বাসায় গিয়েই জানতে পারলাম আজই আমার আকদ। প্রথমে তালবাহানা করলেও সবার চাপে বিয়ে করতে হলো। শুনেছি ছেলেটি দেখতে শুনতে ভালো। আজও শাড়ি পড়েছি আমি। মায়ের লাল জামদানী শাড়ি। বিকেলে ছাঁদে কুর্নিশ বরাবর বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবছি মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে কত কিছু ঘটে গেলো। এসব ভাবনার মাঝে হঠাৎ এক পুরুষের থমথমে গলার স্বর ভেসে আসে,
" ব্লাউজের ফিতে বাঁধুন। এভাবে এলেমেলো হয়ে ঘুরলে আমার চরিত্রে কালো দাগ পড়বে।"
পরিচিত গলার আওয়াজে ভড়গে যাই আমি। তড়িৎ গতিতে পেছন ঘুরে দেখি সেই ১ বছর আগের ছেলেটি দুষ্টু হেঁসে আমার দিকেই আসছে। পড়নে তার লাল পাঞ্জাবী। কনুই পর্যন্ত ফোল্ড করে রেখেছে। আমি ভ্রু কুঁচকে জবাব দেওয়ায় জন্য দাঁড়িয়ে পড়তেই, ডান হাতের আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দেয় সে। তার ছোঁয়ায় আজও মৃদু কেঁপে উঠি আমি। হঠাৎ পেছন ঘুরে ব্লাউজের ফিতা লাগিয়ে জরিয়ে ধরলো। ঘাড়ে থুতনি ঠেকিয়ে ঠোঁট ছুঁইয়ে ফিসফিস করে বলে,
" আজ থেকে প্রতিদিন আমার জন্য শাড়ি পড়বে তুমি। বারবার হুক খুলে যাক, সবসময় আদর করে আমিই লাগিয়ে দেবো। মাঝে মাঝে খুব যত্নে শাড়িও পড়িয়ে দেবো।"
আমার নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে। তবুও খুব কষ্টে বললাম,
" ছাড়ুন আমায়। আপনি এখানে কেন এসেছেন?"
" আমি তোমার অর্ধাঙ্গ। আজ হালাল ভাবে সারা জীবনের জন্য নিজের করে নিয়েছি তোমায়। প্রথমদিন এই ভয়ার্ত চেহারা দেখে গায়েল হয়ে যাই আমি। সেই থেকে সবসময় চোখে চোখে রেখেছি। আজ হুট করেই জেদ করি বসি, তোমাকে বিয়ে করবো। নয়তো সারাজীবনের জন্য চলে যাবো কানাডা।"
এসব কথায় আমি চরম আশ্চর্য হয়ে হা করে রইলাম। আমতা আমতা করে প্রশ্ন ছুড়লাম তার দিকে, " রুদিতার কি হন আপনি?"
সে হাতের বাঁধন আরোও গভীর করে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো আমায়। ঘাড়ে নাক ঘষে মাদ*কের ন্যায় শুধায়,
" কাজিন। এবার বলো ভালোবাসি। তোমার দেহের সাথে মিশিয়ে নাও আমায়। মনের সাথে মন। দেহের সাথে দেহ।"
লোকটার খাপছাড়া কথাভাষ্যে লজ্জায় সামনে ঘুরে মুখ লুকালাম তার বক্ষে। পাঞ্জাবীর কলারে হাত রেখে বললাম,
" প্রথম দেখায় আমিও ভালোবেসে ফেলেছিলাম আপনায়। কখনো এসব বলার সাহস হয়নি। কিন্তু আল্লাহ আপনাকে এভাবে পাইয়ে দিবে কল্পনাও করিনি।"
সাদাফ আমার কপালে চুমু খেয়ে কানের কাছে চুল গুঁজে জরিয়ে ধরে রইলো। কোমরে আলতো চেপে ধরে বলে,
" ভালোবাসি! ভালোবাসি! আমার অর্ধাঙ্গিনীকে ভীষণ রকম ভালোবাসি।"
| সমাপ্ত |
তোমায় হলো পাওয়া
অণুগল্প
আনিকা_আয়াত
একটা সময় ছিলো চোর-ডাকাত ধরা পরলে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখত আর আশে-পাশের দুই-তিন গ্রাম থেকে মানুষ আসতো চোর-ডাকাত দেখতে। আবার অনেকে দূর থেকে লাঠি দিয়ে খোচা মারত ভয়ে ভয়ে।আর এমন একটা সময় খুব সন্নিকটে যখন একজন সৎ এই সমাজে বসবাস করতে পারবে না।এই সমাজের মানুষ তখন একজন সৎ মানুষের সন্ধান পেলে তাকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখবে,আর আশেপাশের দুই-তিন শহরের লোক আসবে সৎ মানুষ দেখার জন্য।তাদের মধ্যে অনেকে ভয়ে ভয়ে লাঠি দিয়ে খোচা মেরে দেখবে সৎ মানুষ দেখতে কেমন।
প্রেম করেছো নিজের ইচ্ছায়।
হোটেলে s'ex করেছো নিজের ইচ্ছায়।প্রেমিকের সাথে যখন,তখন ফোনে সে'ক্স করেছো।সেটাও নিজের ইচ্ছায়।ডেটে গেলে শরীরের,জায়গায় জায়গায় হাত দিতে দিয়েছো।কাওকে জিজ্ঞেস কর নাই,,,,,কাজটা কি ঠিক না বেঠিক ? দিন শেষে প্রেমিক তোমাকে ছেঁকা দিয়ে চলে গেল,,,,,!!!এখন তোমার মাথায় বুদ্ধির উদয় হয়েছে,, এখন বলছো,,, পৃথিবীর সব ছেলেরাই খারাপ।
"""""তুমি যে খারাপ ছেলেটাকে বেছে নিয়েছিলে,তা তো বলো না! তোমাদের তো এসব লুচ্চা ছেলেরই পছন্দ,যারা লুতু পুতু কথা বলে মেয়ে পটাতে পারে,,,,,,কখনো কি বুঝার বা জানার চেস্টা করেছো,,,,একজন ছেলের পার্সোনালিটি বলতে কি বুঝাই??যে ছেলে তোমার পিছে ঘুরে, তোমাকে ইম্প্রেস করছে তার,,কি ভরসা, যে সে অন্য মেয়ের পিছে ঘুরবে না? কিন্তু না এসবের পর ও ,,তুমি যে নিজেই তার হাতে তোমার সম্ভ্রম তুলে দিয়ে, তার কাছে তোমাকে সস্তা করে দিয়েছো,, তা আর স্বীকার করবে না। ওই ছেলে নিশ্চিত বাহিরে বলে বেরাবে "ওই মেয়েটা ভালো না আমিও করছি,,! এই কথা তো আর মিথ্যা না,,,,!!!
তাকে এই কথা বলার সুযোগ দিলো কে? তুমিই তো নাকি???এরপর পুরুষ জাতিকে গালি দিয়ে,,, বাবা-মা এখন যার সাথে বিয়ে দিবে,,,তাকেই বেচে নিয়ে চুপ থাকবে,,,!!! তোমার এই ব্যবহৃত শরীরকে, সতীত্বের মিথ্যা মোড়কে পেচিয়ে,,,, তাকে উপহার দিবে,,,,!!!!
হ্যা বাবা-মা যা করে সন্তানের ভালোর
জন্যেই করে।
যে ছেলেটিকে বিয়ে করে জীবন কাটিয়ে দিবে সেও একটি পুরুষ।মেয়েদের কাছে অাশা করবো সুধু সুন্দর প্লেবয় টাইপ ছেলেদের বয়ফ্রেন্ড না বাছাই করে,সম্পর্ক যদি করতেই হয় ক্লাশের লাষ্ট ব্রেঞ্চে বসা ভালো সান্ত ছেলেটাকে সুযোগ দিবে। সে আর যাই করুক তোমার মোন ভংবেনা। যদি কেউ তোমার দেহ চায় সে কখনো তেমায় ভালোবাসার জন্য আসেনি এসেছি তেমাকে বেশ্যা,ছি,না,ল উপাদি দিতে
""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""""
সুন্দর সুন্দর সব গল্প পড়তে পেইজটি ফলো দিয়ে রাখুন 🥰