hamida khatun ibinahagi a post  
41 sa - Isalin
41 sa

আমাদের দেশে কোন আন্দোলন হলে সারা জীবন দেখছি প্রধানমন্ত্রী আমাদের মানুষ কে উগ্র, জংগী বলে নিজেদের ভুল কে পাশ কাটিয়ে গেছেন। এভাবে আমাদের জনগন কে বিশ্ববাসির কাছে ছোট করেছেন, নিজেকে বড় করেছেন।
এখন এইটা পড়ে দেখেন ইউনুস স্যার কিভাবে জাতীর সন্মান রেখে কথা বলেছেন:
ভারতের NDTV 'কে দেওয়া পুরা ইন্টারভিউ এর চোখ জুড়ানো পার্ট ছিলো কোনটা, জানেন?
প্রফেসর ইউনূস পুরোটা সময় বাংলাদেশের মানুষকে প্রোটেক্ট করে গেছে। যেইটা আমার জন্মে আর কোন ক্ষমতাবান মানুষের মুখে শুনি নাই।
সঞ্চালক জিগাইলো, মানুষ ঢাকাতে নৈরাজ্য করছে।
উনি উত্তর দিলেন, বহুদিন পর দেশের মানুষ সত্যিকারের স্বাধীনতা পেয়েছে। তারা এঞ্জয় করছে। আমরাও এই স্বাধীনতা এঞ্জয় করতেছি।
সঞ্চালক বললো, তাই বলে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভাঙার কারণ কী?
স্যার বললেন, এর একমাত্র দায় শেখ হাসিনার। সে দুঃশাসনের মাধ্যমে পিতার ইমেজ ধ্বংস করছে। এর ফলে এই ভাঙচুর হচ্ছে।
সঞ্চালক এবার জানতে চাইলো, এই লুটতরাজের কারণ কী? এইটা কীভাবে দেখেন?
ইউনূস একবারও মানুষের দোষ দিলেন না।
বললেন, এইটা হাসিনার দুঃশাসনের ধারাবাহিকতা। মানুষ ভোট দিতে পারে নাই বহুবছর। এই ক্ষোভ তাদের মধ্যে থাকাটাই স্বাভাবিক। ডেমোক্রেসি আসলেই এসব বন্ধ হয়ে যাবে। মানুষকে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই আইনের শাসন ফিরিয়ে আনার প্রথম এবং প্রধান পদক্ষেপ।
এরপর উনি ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার কোন চেষ্টা হলে ভারত, মায়ানমার, সেভেনসিস্টারও অক্ষত থাকবে না।
খেয়াল করেন, সে ভারত আর সেভেন সিস্টার আলাদা আলাদা উচ্চারণ করেছে। হুমকিটা কত ব্যাপক, বুঝতেসেন তো?
সারাজীবন যে কোন আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সন্ত্রাসী তকমা শুনে এসেছি।
আমার ভাইদের লা****শ হাসপাতালে রেখে মেট্রোরেল ধরে খু****নি স্বৈরাচারীর কান্নার নাটক দেখেছি।
বিদেশি সাংবাদিকদের সামনে দেশের মানুষকে সন্ত্রাসী বানানোর কুৎসিত চেষ্টা দেখে দেখে বড় হয়েছি।
আমাদের কখনও কেউ ডিফেন্ড করে নাই, ওউন করে নাই, এতো মায়া দিয়ে কথা বলে নাই আমার জন্য।
অথচ আজ প্রফেসর ইউনূস মানুষকে ভিলিফাই করেন নাই। আমাদের রাগটা বুঝেছেন। আমাদের ওউন করেছেন। আমাদের থ্রেটকে মোকাবিলা করেছেন পাল্টা থ্রেট দিয়ে।
এরপরে ডক্টর ইউনূসকে আমাদের ওউন করতে আর কোন বাঁধা নাই। আজ থেকেই আমি উনাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলে সম্বোধন করলাম।
বিদেশের সাংবাদিকের কাছে যে মানুষ দেশের জনগণকে এভাবে প্রটেক্ট করে, তার হাতে বাংলাদেশ তুলে দিতে আমাদের আর কোন দ্বিধা নাই।

image