জহির রায়হান দাবি করেছিলেন, বুদ্ধিজীবি হত্যাকান্ডের পেছনে সংসদে আছে এমন অনেকেও জড়িত। এমনকি যুদ্ধের সময়ও তিনি দেখেছেন কে কী করেছে। তার সব রেকর্ড তার কাছে আছে। তিনি তা শীঘ্রই প্রকাশ করবেন।
এরপর রহস্যজনকভাবে তিনি গায়েব হয়ে যান। তাকে মৃত ঘোষণা করা হলেও তার লাশটাও পাওয়া যায় নি।
জহির রায়হান নিখোঁজ হওয়ার প্রতিবাদে শেখ মুজিবের সাথে দেখা করতে যায় তাঁর বোন নাফিসা কবির। শেখ মুজিব অনেকক্ষণ অপেক্ষা করিয়ে রেখে দেখা করেন।
তারপর তাঁকে বলেন,
‘জহিরের নিখোঁজ নিয়ে এরকম চিৎকার করলে তুমিও নিখোঁজ হয়ে যাবে।’
[ ১) সরকার সাহাবুদ্দিন আহমদ, রাহুর কবলে বাংলাদেশ সংস্কৃতি, ঢাকা, পৃষ্ঠা: ১০৮, আসলাম সানী রচিত ‘শত শহীদ বুদ্ধিজীবী’ ;
২) পিনাকি ভট্টাচার্য, ‘স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশ’, পৃ. ১২৬
https://t.me/ShesJamanarFitnah